۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
কুরবানী সংক্রান্ত কিছু প্রাসঙ্গিক কথা
কুরবানী সংক্রান্ত কিছু প্রাসঙ্গিক কথা

হাওজা / কুরবানীর হুকুম কী এবং কারা কুরবানী করবে

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী,  কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে উলামা - ই কিরামের মাঝে ইখতিলাফ ( মত পার্থক্য ) আছে অর্থাৎ কুরবানী কি ওয়াজিব না এটা সুন্নাত ?

   ইমাম মালিক ও ইমাম শাফিঈর  অভিমত ( রায় ) হচ্ছে যে কুরবানী করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ । ( দ্র : আল - উম্ম্  , ২ : ৩৪৫ ; ইবনে মানযূর প্রণীত আল - ইকনা' , ১ : ৩৮৯ )

ইমাম মালিক মুআত্তায় বলেছেন : কুরবানী করা সুন্নাত ( মুয়াক্কাদা ) ; ইহা ওয়াজিব নহে । যে কুরবানী ক্রয় করিতে সামর্থ্য রাখে , তাহার পক্ষে কুরবানী না করা আমি পছন্দ করি না । ( দ্র : মুয়াত্তা - ই - ইমাম মালিক  ( র ) , খ : ২ , পৃ : ৮০ , মুহম্মদ রিজাউল করীম ইসলামাবাদী অনূদিত , ৩য় সংস্করণ , ২০০১ , প্রকাশক : মোহাম্মদ আবদুর রব , পরিচালক , প্রকাশনা বিভাগ , ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ , ঢাকা )

আর জাফারী ফিকহের অনুসারী বারো ইমামী শিয়া মাযহাব ঐকমত্য পোষণ ( ইজমা ' ) করেছে যে কুরবানী করা মুস্তাহাব্ব -ই মুআক্কাদ( তাকিদ অর্থাৎ জোর গুরুত্ব বহ মুস্তাহাব ) বরং ইসলামী শরিয়তে কুরবানী জায়েয হওয়া ইসলাম ধর্মের জরুরী ( অপরিহার্য ) বিষয়াদির অন্তর্ভূক্ত । অত:পর আপনার প্রভুর উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কুরবানী ( নহর نحر ) করুন ( فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انْحَرْ ) -- সূরা - ই কাওসারের এ আয়াতটি কুরবানীর বৈধতা এবং তা মুস্তাহাব্ব - ই মুআক্কাদ হওয়ার শ্রেষ্ঠ দলীল । আর কতিপয় মুফাস্সিরের মতে এ আয়াতটিতে নহরের ( نَحْر ) অর্থ হচ্ছে ঈদের নামাযের পর কুরবানীর পশু নহর ( যবেহ ও কুরবানী ) করা । আর কুরবানী জায়েয হওয়া সংক্রান্ত হাদীস ও রিওয়ায়ত সমূহ মুস্তাফীয্ বরং মুতাওয়াতির ; যেমন : ইমাম আবূ জাফার ( আ:) বলেন :

اَلْأَضْحِیَّۃُ وَاجِبَۃٌعَلَیٰ مَنْ وَجَدَ مِنْ صَغِیْرٍ أَوْ کَبِیْرٍ وَ ھِیَ سُنَّۃٌ.

ছোট বড় যা হোক না কেন যে ব্যক্তি কুরবানীর পশু পাবে তার উপর তা কুরবানী করা ওয়াজিব হবে ; তবে এটা ( কুরবানী করা ) হচ্ছে সুন্নাত ( অর্থাৎ যেহেতু হাদীসের শুরুতে ওয়াজিব শব্দটি এসেছে কিন্তু হাদীসের শেষে সুন্নাত শব্দটি উল্লেখিত হয়েছে সেহেতু ওয়াজিব ও সুন্নাত এ শব্দদ্বয়ের সমম্বয়ে সুন্নাত শব্দের অর্থ দাঁড়ায় মুআক্কাদ সুন্নাত  বা জোর গুরুত্ববহ সুন্নাত ) ।

    আর ইমাম মালিক ( র ) মিনায় হাজীকে ( হজ্জ পালনরত ব্যক্তি ) কুরবানী ত্যাগ করার রুখসত ( ছাড় বা অনুমতি ) দিয়েছেন ( দ্র : আত - তাফরী' :  ১ , ৩৮৯ ; আন - নাওয়াদির ওয়ায যিয়াদাত , ৪ : ৩১০ ; আল - কাফী ফী ফিকহি আহলিল মাদীনাহ্ : ১৭৩ )

    আর এ ব্যাপারে ইমাম শাফিঈ হাজী ও যে ব্যক্তি হাজী নয় তার মাঝে পার্থক্য করেন নি । কিন্তু ইমাম আবু হানিফা বলেছেন : শহরাঞ্চলের স্বচ্ছল বাসিন্দাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব । তবে মুসাফিরদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয় ( দ্র : সারাখসী প্রণীত আল - মাবসূত , ১০ : ১২ ; তুহফাতুল ফুকাহা , ৩ : ৮১ ; মারগীনানী প্রণীত আল - হিদায়াহ ৪: ৪০৩ )

আর ইমাম আবু হানিফার ( র) শিষ্যদ্বয় ইমাম আবু ইউসুফ ( র ) এবং ইমাম মুহাম্মদ ( র) স্বীয় ওস্তাদের ( ইমাম আবূ হানীফা ) সাথে দ্বিমত পোষণ করে বলেছেন : কুরবানী করা ( الضحیة ) ওয়াজিব নয়  ( ( দ্র : মুখতাসার ইখতিলাফিল উলামা , ৩ : ২২০ ; সারখসীর আল - মাবসূত  , ১২ : ১০ - ১১ ;  তুহফাতুল ফুকাহা , ৩: ৮১ ; আল - মারঘীনানীর আল - হিদায়াহ ,৪ : ৪০৩ , তবে  তিনি ( আল - মারঘীনানী ) কুরবানী ওয়াজিব হওয়ার বিষয়টি ইমাম মুহাম্মদের সাথে এবং  ইমাম আবূ ইউসুফের ( র) সাথে ( কুরবানীর বিধান সংক্রান্ত ) তার দুই অভিমতের একটি অভিমত হিসাবে  সংশ্লিষ্ট ও সন্বন্ধিত করেছেন ।)) আর ইমাম আবু হানিফার (র) অভিমতের অনুরূপ অভিমত ইমাম মালিক (র) থেকেও বর্ণিত হয়েছে ।

( দ্র : আন - নাওয়াদির ওয়ায যিয়াদাত , ৪:৩১০ ; আল - মাঊনাহ , ১: ৬৫৭ ; আব্দুল ওয়াহ্হাব প্রণীত আল - আশরাফ , ২ : ৯০৭ ; আল - কাবাস , ২: ৩৭৬ ; আর ইমাম মালেক থেকে বর্ণিত আছে যে কুরবানী হচ্ছে মুআক্কাদ সুন্নাত অথবা ওয়াজিব সুন্নাত ( সুন্নাত -ই- ওয়াজিবাহ । ) ।

দ্র : কাযী আবুল ওয়ালীদ মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ ইবনে রুশদ আল-কুর্তুবী ( মৃ: ৫৯৫ হি : ) প্রণীত বিদায়াতুল মুজতাহিদ ওয়া নিহায়াতুল মুকতাসিদ , ৩য় খণ্ড , কিতাবুয যাহায়া , পৃ : ৩৭৯ - ৩৮১ ) ।

অনুবাদ ও সংগ্রহ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .